প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ; জ্বালানি-রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারত সফরের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পরে হযরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এস জয়শঙ্করের মধ্যে অনুষ্ঠিত আধাঘণ্টার মতো স্থায়ী এ বৈঠক নিয়ে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেস বিফ্রিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ বিন মোমেন।

বলেন, আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে কীভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনা হতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া যেসব বিষয় ঝুলে আছে, সেসবে গুরুত্ব দিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সহিংসতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সমস্যা হবে কিনা আলোচনায় এ বিষয়ও ছিল বলে উল্লেখ করেন মাসুদ বিন মোমেন। আরও বলেন, ভারতও লক্ষ্য করছে, এখানে কিছুটা অশান্তি বিরাজ করছে। যা কাম্য নয়। সংকট মোকাবেলায় একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারি এ বিষয়েও আলোকপাত করা হয়। পানির বিষয়েও আলোচনা হয়।

ভারতের উদ্বৃত্ত জ্বালানি থাকলে দুই দেশের সুবিধার ভিত্তিতে কীভাবে তা আমদানি করা যায় সে বিষয়েও চলে আলোচনা, জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব।

আগামীকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানের ওই বৈঠকে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, বৈঠকের পর এক টুইট বার্তায় এস জয়শঙ্কর লিখেছেন, আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমাদের নেতৃত্বস্তরের যোগাযোগের উষ্ণতা ও পুনরাবৃত্তি ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর অংশীদারিত্বের একটি সাক্ষ্য।

এর আগে এদিন বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর সোয়া বারোটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিশেষ বিমানটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের রেল ও টেক্সটাইল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম আর বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। দুপুর পৌনে একটায় প্রধানমন্ত্রী পৌঁছান হোটেল আইটিসি মোরিয়ায়। এরপর বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এস জয়শঙ্কেরর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার সকাল সোয়া দশটায় বিশেষ বিমানে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্যরা।