আ. লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন আবদুল কাদের মির্জা
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন।
কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে ছিলেন। এই পদে তিনি আর থাকবেন না বলে জানিয়েছেন।
পদত্যাগের ঘোষণায় বসুরহার পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা বলেন, অতীতে যে প্রতিশ্রুতি গুলো দিয়েছি তা রক্ষা করে আমি বিদায় নিতে চাই। আমি আর প্রশ্নবিদ্ধ হতে চাই না, আমি দল থেকে বিদায় নিচ্ছি। এতদিন আ.লীগের মির্জা ছিলাম। আওয়ামী লীগের মির্জা আজ থেকে আমি নেই। কোনো শক্তি আমাকে আর আ.লীগের মির্জা বানাতে পারবে না। তবে তিনি নিজের ঘোষিত উপজেলা আ.লীগের কমিটিকে দূর থেকে সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
দলে সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদেরে ভাই বলেন, আমি সব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই সেখানে আমি থাকবো না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি সেখানে থেকেই কাজ করবো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি একসঙ্গে না পারলেও ধীরে ধীরে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী তাদেরকে দল থেকে বের করে দিন।
তিনি আরও বলেন, দিনের বেলা আলাদা রাজনীতি করলেও রাতের বেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি মিলে হোটেলে একসঙ্গে হয়ে যায়। এরা জাতীয় অপকর্ম পার্টি গঠন করেছে। বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশে তিনি বলেন, তিনি পদপদবীর জন্য অপশক্তিদের কাছে মাথা নত করেছেন।
উল্লেখ্য, কাদের মির্জা নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মেয়র নির্বাচনের আগে থেকে মির্জা কাদের দলের কিছু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তিনি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের বিরেুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেন। গণমাধ্যমে তাদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হয়েও তিনি নানা ইস্যুতে অবরোধ হরতাল করে আসছিলেন। তাকে নিয়ে দল বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বলেও বহু নেতা অভিযোগ করেন। অবশেষে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিলেন মির্জা কাদের।